ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২৮ নভেম্বর হানাদারমুক্ত হয় ‘জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল’

ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
২৮ নভেম্বর হানাদারমুক্ত হয় ‘জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল’  বিখ্যাত ‘জগন্নাথদীঘি’

কুমিল্লা: আজ ‘জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল’ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে (২৮ নভেম্বর)  সরাসরি যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত করা হয় জগন্নাথদীঘিকে। যা যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত করা বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল।

মুক্তিযোদ্ধাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই দিনে সীমান্তবর্তী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদীঘির উভয় দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা শত্রুমুক্ত হয়েছিল।

এ স্মৃতিকে অমর করে রাখতে এলজিউডির তত্ত্বাবধানে ১৯৯৩ সালে জগন্নাথদীঘির পাড়ে পাঠাগার, সমাজকল্যাণ কেন্দ্র ও দাতব্য চিকিৎসালয়

স্থাপনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলেও ২৪ বছরেও এটি বাস্তবায়ন হয়নি।

এখনো এর কোনো কার্যক্রমই শুরু হয়নি।

জানা যায়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১১ নভেম্বর চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারায় মুক্তিবাহিনীর ৯ গেরিলা যোদ্ধা শহীদ হলে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ জোরালো হয়।

২৭ নভেম্বর ভোর রাতে সম্মুখ যুদ্ধে জগন্নাথদীঘির পাড়ে অবস্থিত পাক বাহিনীর ক্যাপ্টেন জংয়ের ঘাঁটির পতন ঘটে।

ফলে জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের উত্তর দক্ষিণে ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম শত্রুমুক্ত হয়।

পরদিন সকাল ১০টায় মুজিবনগর সরকার নিয়ন্ত্রিত ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত বড় টিলা ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আরও ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ তৎকালীন কুমিল্লার ৪ জন গণ পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল, হাজি আলী আকবর মজুমদার ও জালাল আহমেদের উপস্থিতিতে ক্যাপ্টেন জংয়ের ঘাঁটিতে (বর্তমানে জগন্নাথদীঘি বিজিবি ক্যাম্প) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

মুজিবনগর সরকার তাৎক্ষণিক ওই এলাকাকে প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ বিষয়ে জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও বড়টিলা ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল স্মৃতিকে ধরে রাখতে অচিরেই পাঠাগার, সমাজকল্যাণ কেন্দ্র ও দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।