খাবারের মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এ বছরের মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোটেল মালিকদের খাবার মূল্যের তালিকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো হোটেল মালিকই নির্ধারিত মূল্য রাখছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ের মিলন হোটেলের মালিক বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সময়ে শাক-সবজি ও মাছ-মাংসের দাম বেশি হওয়ায় আমরা নির্ধারিত মূল্যে খাবার দিতে পারছি না। এ বিষয়ে প্রক্টর স্যারের সঙ্গে খুব শীঘ্রই আমরা কথা বলব।
পশুপালন অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুকান্ত রায় বাংলানিউজকে বলেন, জব্বার মোড়ের ভাই ভাই হোটেলে প্রশাসন থেকে দেওয়া খাবারের তালিকা অনুযায়ী টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হোটেল মালিক বলেন যে তাদের কোনো চার্ট দেওয়া হয়নি। এসময় আমি চার্টের ছবি দেখালে তিনি বলেন সেটা সরকারি চার্ট। এছাড়া হোটেলগুলোতে শুধু দামই বেশি রাখা হচ্ছে না খাবারের মানও কমে গেছে। হোটেল ও শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যান্টিনের খাবারে প্রায়ই মশা, মাছি ও বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড় পাওয়া যায় বলে অভিযোগ তার। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান খোকন বাংলানিউজকে বলেন, খাবারের তালিকা অনুযায়ী দাম নিতে হোটেল মালিকদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। আমরা শীঘ্রই এই বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তালিকাটি হালনাগাদ করব। তবে হালনাগাদ করার আগ পর্যন্ত পূর্বের তালিকাটি বলবৎ থাকবে। এছাড়া হোটেলের খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে হোটেলগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ ও জরিমানা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭
টিএ