পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনদিনব্যাপী দূত সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
এছাড়াও চাপ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও চলবে- জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘জনগণ ও শান্তির জন্য কূটনীতি’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন রোববার (২৬ নভেম্বর) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলনে বিশ্বের ৫৮টি দেশে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
দূত সম্মেলনের তৃতীয় দিনে রাতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এ সম্মেলন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও দূতরা সন্ধ্যা ৭টায় তার সঙ্গে নৈশ ভোজে অংশ নেবেন।
সেখানে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনামূলক বক্তব্যও দেবেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে সমাপনী আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, এটিই প্রথম দূত সম্মেলন হওয়ায় আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যিতে এ সম্মেলন নিয়মিত আয়োজনের বিষয়ে তাগিদ দেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, দূতাবাসগুলোতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও কর্মকর্তা থাকে। আমি তাদের বলছি, দূতবাসে রাষ্ট্রদূতই প্রধান। তিনি সবাইকে মিলে মিশে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রতিবছরই এ ধরনের সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এটি আঞ্চলিক ভিত্তিতে ভাগ ভাগ করেও হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
কেজেড/এসএইচ