মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশের ভয়ে প্রথমে বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। পরে সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
নির্যাতনের শিকার ১১ জন হলেন- ফরিদ, বায়েজিদ কালাম, মালু মিয়া, রহমত আলী, পরিচ্ছন্নকর্মী মো. জামাল, তাণ্ডু মিয়া, ফরহাদ আলী, তারা মিয়া, মোহন মিয়া, খোকন মিয়া ও করিম মিয়া।
এদের মধ্যে ফরিদকে প্রথমে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মহালছড়ি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক আবুল খাঁ অভিযোগ করে বলেন, রাতে ফিশারি ঘাটে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা মাছ প্যাক করছিলেন। এসময় মহালছড়ি থানার এসআই তৌহিদ হাঠৎ এসে ব্যবসায়ীদের থানায় যেতে বলেন। পরে সেখানে মহালছড়ি মৎস্য সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. ফরিদসহ ১১ জনকে কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করেন।
একপর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে মারধর করা হয়নি বলে মোবাইল ফোনে স্বীকারোক্তমূলক ভিডিও ধারণ করে তাদের ছেড়ে দেন তৌহিদ।
মহালছড়ি উপজেলা মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসরুল্লাহ আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সামান্য বিষয়ে পুলিশের এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।
মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবায়েরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ফিশারি ঘাটের বরফ ফ্যাক্টরিতে গভীর রাতে বিকট শব্দের কারণে অনেকের ঘুম হয় না। তাই তৌহিদ এমনটা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
আরবি/