ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শনির আখড়ায় খুন

পাঁচ আসামি গ্রেফতার, পলাতক চারজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
পাঁচ আসামি গ্রেফতার, পলাতক চারজন

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়ায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে ওয়ার্কশপ কর্মচারী কাউসার (১৭) খুনের মামলায় ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে আরও ৪ আসামি পলাতক।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে পাপ্পু, রিফাত, তুহিন, সাইদ ও আমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অন্য চারজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা এ হত্যাকাণ্ডে কার কি ভূমিকা ছিল, সে বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।  

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতারকৃত ৫ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তবে তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় রিমান্ড মঞ্জুর করেননি আদালত।
 
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্য কোনো কারণ আছে কি-না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

গত ২১ নভেম্বর রাতে শনির আখড়া এলাকার দনিয়া কলেজ মাঠে ব্যাডমিন্টন কোর্টের আলোকসজ্জা নিয়ে মারামারির সময় কাউসারকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন যাত্রাবাড়ী থানায় ৯ জনকে এজাহারভুক্ত এবং অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করে নিহতের পরিবার।

নিহত কাউসার আহমেদ চাঁদপুরের মতলব উপজেলার দীঘিরপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ৩ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছিলো। দনিয়ার নয়াপাড়া এলাকায় মামা বাবুল বিশ্বাসের কাছে থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতো।

কাউসারের মামা বাবুল বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কাউসার আমার সঙ্গে থেকে কুতুবখালীতে আমার গাড়ির ওয়ার্কশপ দেখাশোনা করতো। কাউসারের কোনো খারাপ নেশা ছিল না, খুব ভালো ছেলে ছিল’।

‘এ হত্যাকাণ্ডের মূলে রয়েছে রাব্বি। সে পরিকল্পনা করে আমার ভাগিনাকে হত্যা করেছে’ বলেও অভিযোগ করেন বাবুল।

পুলিশ জানায়, ব্যাডমিন্টন খেলার একটি কোর্ট থেকে পাশের আরেকটি কোর্টের আলোকসজ্জায় বিদ্যুতের লাইন নেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই মারামারি হয়। এক পর্যায়ে পূর্বপরিচিত পাপ্পু, রিফাত, তুহিন, সাইদ ও আমানসহ বেশ কয়েকজন কাউসারকে মারধর করে। মারামারির এক পর্যায়ে কাউসার দৌঁড়ে পালাতে থাকলে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে তাকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাতও করে ওই যুবকরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাউসারের মাথা, বুক ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এসজেএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।