কুয়াশা জমাট বেঁধেছে ধান গাছের সবুজ-সোনালী পাতায়। ভোরের রাস্তাগুলো দেখলে মনে হবে যেন এই মাত্র পৌর কর্তৃপক্ষ ধুলো দমাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখেছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত যানবাহনকে চলতে হয়েছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।
ভোর পেরিয়ে সকাল হলেও কাটেনি কুয়াশা। পূর্ব দিগন্তের সূর্য দুর্বল হয়ে হালকা উঁকি মারছে। এমনিতেই শীত ও কুয়াশা, তার মধ্যে নিস্তেজ সূর্য যেন শীতকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে।
শীত ও কুয়াশার কারণে গন্তব্যে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও কর্মমুখী মানুষেরা।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯নং আস্করপুর ইউনিয়নের জামালপুর শেখপাড়া এলাকার আবু হুরাইরা বাংলানিউজকে জানান, শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলছে। সকাল ৭টায় সন্তানকে প্রাইভেটে নিয়ে যেতে হয়। তবে গত কয়েকদিন থেকে হঠাৎ ভোর-সকালে ঘন কুয়াশা পড়ছে। হেড লাইট না জ্বালিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাচ্ছে না।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখন যত দিন যাবে তত শীতের তীব্রতা বাড়বে। বর্তমানে গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ঘন কুয়াশা ঝরছে। গত কয়েকদিন থেকে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
আরআই