বুধবার (২৯ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ এবং টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল হাসান এ অভিযোগ গঠন করেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌশুলী (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাদের আইনজীবীরা আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি, মামলাটি পুনঃতদন্ত ও জামিনের জন্য তিনটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো খারিজ করে দেন।
২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করে।
রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে মরদেহের ছবি দেখে তার বোন বলে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রূপাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
আরবি/