একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ভিকটিমকে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুলফিকার আলী খান।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বাদশা জেলার আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ বাদশা ফকিরের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক।
মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে, ভিকটিম বাদশাদের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতেন। বাদশার স্ত্রী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৬ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর মেয়েটি তাকে অনেক বার বিয়ের কথা বলার পরও তিনি রাজি হননি। পরে বাধ্য হয়ে ২০০৭ সালের ৮ জুলাই বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি। পরে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমতলী থানায় এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
আমতলী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এসআই