বুধবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সাংবাদিক ওমর ফারুক স্মরণে আলোচনাসভা ও তার পরিবারকে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এই খেদোক্তি করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, নদীগুলোকে দখলমুক্তেও জঞ্জালমুক্ত করে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
‘রাজউকের কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না’-- এমন অভিযোগ তুলে মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগসহ ঢাকার চারটি মূল নদীর জমি দখল করে তৈরি করা অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার হয়েছে আদালতের আদেশেই। অথচ অনেকবার বলার পরও অবৈধ দখল উচ্ছেদে রাজউক কর্মকর্তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না।
‘আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য রাজউক কর্মকর্তাদেরই দায়ী করেন মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবাসিক এলাকায় কার সামনে বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে? আমার অথরাইজড অফিসারের সামনেই হচ্ছে। আর দে ব্লাইন্ড? ব্লাইন্ড হোয়াই? নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে এই ব্লাইন্ড হওয়ার পেছনে। তারপর যখন স্থাপনা হয়ে যায় তখন আর ভাঙতে পারে না।
‘রাজধানীতে নাইনটি এইট পার্সেন্ট (৯৮ শতাংশ) ভবন আছে ফুটপাত-ঘেঁষা সংলগ্ন। কিন্তু রাজউকের অথরাইজড অফিসার এ ব্যাপারে চুপ, রাজউকের ইন্সপেক্টর চুপ। এমনটা কেন?’-- প্রশ্ন করেন মন্ত্রী।
এ সময় প্রয়াত সাংবাদিক ওমর ফারুকের স্ত্রী সানজিদা শওকত এবং বড় মেয়ে ফারিহা ওমরের হাতে তিন লাখ টাকার চেক তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, রাজউকের উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুনুর রশিদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মামুন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়:২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এএম/জেএম