তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদের আশ্রয় হবে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে’।
যশোরে শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরের ‘উদ্বোধন ও উৎসর্গ’ উপলক্ষে তিন দিনের অনুষ্ঠানমালার শেষ দিন বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় 'শতরূপে শ্রীমা সারদা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসমাত আরা সাদেক বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ধর্ম-বর্ণ-জাতি- সম্প্রদায় নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে, মিলে-মিশে থাকতে পারেন, সেজন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে’।
‘মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও ঐক্যের সেতুবন্ধন নির্মাণ করা সকল ধর্মেরই প্রকৃত উদ্দেশ্য। ধর্মের এই প্রকৃত সত্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য। যা করে চলেছেন রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের কর্ণধারেরা। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আদর্শ ও শিক্ষার আলোকে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ঘুচিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। নিপীড়িত, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবা করাই এ মিশনের উদ্দেশ্য’।
এ কর্মযজ্ঞের যজ্ঞে জড়িতদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
ভারতের বেলুর মঠ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ট্রাস্টি বিমলাত্মানন্দজী মহারাজের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব অরুন্ধতী দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও বাংলাদেশ মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি কান্তিবন্ধু ব্রহ্মচারী।
আলোচক ছিলেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ডক্টর অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, চট্টগ্রাম চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত ও নড়াইল মনোরঞ্জন কাপুড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপসী কাপুড়িয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী শিবাত্মানন্দজী মহারাজ।
১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনে অনুপম স্থাপনা ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নকশায় নির্মিত হয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির।
নান্দনিক এ মন্দির নির্মাণ কাজে সরাসরি জড়িত থাকায় অনুভূতি প্রকাশ করে সভায় বক্তব্য দেন মন্দির নির্মাণের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার বিশ্বাস, সহ তত্ত্বাবধায়ক পঙ্কজ দে ও ডিজাইনার যশোর ইইডি’র সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ধনঞ্জয় বিশ্বাস।
সঞ্চালনা করেন দীপঙ্কর দাস রতন ও দেবাশীষ রাহা।
সন্ধ্যার পর কলকাতা দূরদর্শনের স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সুরেলা কণ্ঠের সংগীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনদিনের উৎসব সম্পন্ন হয়। সোমবার (২৭ নভেম্বর) শুরু হয়েছিল উৎসবের বর্ণাঢ্য আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এএসআর