এ সময় তার কাছ থেকে ৫শ টাকার ৬টি, ১ হাজার টাকার ৪২টি জালনোট ও জাল টাকা বিক্রির আসল ২১ হাজার ৪শ টাকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিল, সিল প্যাড, কালার প্যাড, খাতা জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০১০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার নাজমুল হোসেন ওরফে আজমুলের বড় ভাই আল আমিন নিঁখোজ হয়। পরের দিন ২৫ সেপ্টেম্বর কাঠালিয়ার দক্ষিণ চেচরী গ্রামের মাঝির বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা থেকে আল-আমিনের গলাকাটা মরদে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত আল-আমিনের বাবা জিয়াউল হক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
ওসি বলেন, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ ঝালকাঠি জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের বিচারক মামলার অভিযুক্ত ৩ আসামির মধ্যে নিহত আল আমিনের ভাই নাজমুল হোসেনকে মৃত্যদণ্ডের রায় দেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপর ২ আসামির মধ্যে নাজমুলের বন্ধু মো. বেল্লাল হোসেনকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এমাদুল হক হাওলাদার নামে আরেক আসামিকে খালাস দেন আদালত।
প্রেমঘটিত কারণে নাজমুল তার ভাই আল-আমিনকে হত্যা করেছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এমএস/জিপি