বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সাভার থানার সরকারি কোয়ার্টার থেকে মোবারককে গ্রেফতার করা হয়। তিনি তাহমিনার নামে বরাদ্দ করা বাসাতেই থাকতেন।
মোবারকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিনুল কাদির।
এর আগে নিহত তাহমিনার বাবা আবদুস সালাম বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মোবারক রাজধানীর একটি আবাসন প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী তাহমিনা ও সন্তানদের নিয়ে তিনি সাভার থানার সরকারি কোয়ার্টারেই বসবাস করে আসছিলেন।
পুলিশ জানায়, ২৫ নভেম্বর সাভার থানা কম্পাউন্ডের বাসায় এসআই তাহমিনার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাহমিনার বাবা বাদী হয়ে স্বামী মোবারকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ বা স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে তাহমিনা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে এসবের পাশাপাশি অন্য আরও কিছু বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
গত ২৫ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে সাভার মডেল থানার কম্পাউন্ডের বাসা থেকে এসআই তাহমিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাভার থানায় কর্মরত তাহমিনা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেবার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এএটি