বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে জেলা লঞ্চ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভোলার সামাজিক, পেশাজীবী, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-ভোলা জজ কোর্টের পিপি সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন লাভু, এপিপি কিরন তালুকদার, ভোলা চেম্বার পরিচালক শফিকুল ইসলাম, ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন, সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন কুট্টি, ভোলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সম্পাদক সামস উল আলম মিঠু, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এসএম বাহাউদ্দিন, আবৃত্তি শিল্পী মশিউর রহমান পিংকু, লেডিস ক্লাব সম্পাদিকা খাদিজা আখতার স্বপ্না, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান লেলিন, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক অবিনাশ নন্দ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, লঞ্চ সিন্ডিকেট ভোলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে। অবিলম্বে ভোলা-ঢাকা নৌরুটের লঞ্চ রোটেশন প্রথা বাতিল, লঞ্চ শ্রমিক কৃর্তক যাত্রী হয়রানি, কেবিন সিন্ডিকেট বন্ধ, লঞ্চ মালিক সিন্ডিকেট বাতিল করে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান বক্তারা।
এ সময় বিআইডাব্লউটিআইএ’র নিয়ম অনুযায়ী যদি ৫টি লঞ্চ চলাচল না করে তবে হরতাল ও লঞ্চঘাট ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
পরে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহ. সেলিম উদ্দিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
উল্লেখ্য, ভোলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ। ভোল-ঢাকা নৌরুটে ৫টি লঞ্চকে রোটেশন পারমিট দেওয়া হলেও বর্তমানে প্রতিদিন ভোলা থেকে ২টি লঞ্চ চারগুণ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। কিন্তু লঞ্চ মলিকরা দীর্ঘদিন ধরে ভোলা-ঢাকা নৌরুটে সিন্ডিকেট করে যাত্রীদের হয়রানি করে আসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ