ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা নারীদের মালয়েশিয়া পাঠাতেই ঢাকায় আনে দালাল রাজু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
রোহিঙ্গা নারীদের মালয়েশিয়া পাঠাতেই ঢাকায় আনে দালাল রাজু কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের প্রেসব্রিফিং

ঢাকা:শিশুসহ দুই রোহিঙ্গা নারীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশ্যেই ঢাকায় নিয়ে আসে দালাল রাজু মোল্লা।

রাজধানীর ডেমরা মাহমুদ নগরে একটি ভাড়া বাসায় তিনদিন অবস্থান করে তাদের পাসপোর্ট তৈরির কাজও করা হচ্ছিল। এজন্য কেরানীগঞ্জ আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিসে সেখানকার দালালদের সঙ্গে যোগাযোগও করছিল রাজু।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান।

এর আগে, ৩০ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা মাহমুদ নগরের একটি বাসা থেকে শিশুসহ দুই রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব।  

উদ্ধারকৃতরা হলেন- সেতারা বেগম (২৫), তার কন্যা সন্তান শফিকা (৬) এবং জাহেদা বেগম (১৬)।  

এদিকে, এই রোহিঙ্গা নারীদের আশ্রয় দেয়া ও তাদের কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার অপরাধে রাজু মোল্লা (৪৫) ও মোখলেছুর রহমান (৬৫) নামের দুই দালালকে আটক করে র‌্যাব-১০।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০ এর সিও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সহিংসতা শুরুর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা নারী সেতারা ও জাহেদা অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেতারা বেগমের ভাই সলিমুল্লাহ তিন বছর আগেই অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যায়। আনুমানিক ছয় মাস পূর্বে সলিমুল্লাহ'র সঙ্গে মোবাইল ফোনে জাহেদার বিয়ে হয়।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশের পর তারা টেকনাফের সোয়ানখালীতে একটি বাসায় আশ্রয় নেয়। পরে তারা কক্সবাজারের কলাতলীতে একটি ভাড়া বাসায় ওঠে এবং স্থানীয় একটি হোটেল রান্নাবান্নার কাজ নেয়।  

তিনি বলেন, গ্রেফতার দালাল রাজু মোল্লার ভাতিজা রফিকুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় জাহেদার স্বামী সলিমুল্লার সঙ্গে বসবাস করে। সলিমুল্লাহ'র অনুরোধে রফিক তার চাচা রাজুকে তার বোন সেতারা ও স্ত্রী জাহেদার পাসপোর্ট তৈরি করে মালয়েশিয়া পাঠাতে বলে।  

এই কারণে গত ২৫ নভেম্বর জাহেদা, সেতারা ও তার কন্যা সন্তান শফিকাকে নিয়ে দালাল রাজু ঢাকার ডেমরায় অন্য দালাল মোখলেসুরের বাসায় আশ্রয় নেয়।  

তিনি বলেন, ২৮ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিসে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়াও চালায়।  

এদিকে ৩০ নভেম্বর দুই দালালকে র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো. গাউসুল আজম বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এদের মধ্যে দালাল রাজু মোল্লাকে ৬ মাস এবং মোখলেসুর রহমানকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।  

অপর দিকে, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা নারী সেতারা বেগম ও তার কন্যা সন্তান শফিকাকে কক্সবাজারের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবং জাহেদা বেগমকে জামতলী ক্যাম্পে প্রেরণের নির্দেশনাও দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এসজেএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।