গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিসের সাম্প্রতিক মিয়ানমার সফর এবং সেখানে চলমান রাষ্ট্রীয় জুলুমের বিরুদ্ধে তার বক্তব্য আমাদের আশা জাগিয়েছে। তার এই সফর গণহত্যার শিকারে পরিণত হওয়া একটি অসহায় জনগোষ্ঠীর পক্ষে আরও জোরালো বিশ্ব জনমত তৈরি করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও উৎখাতে লিপ্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সরকারের মানবতাবিরোধী নৃশংসতা শুধু অত্র অঞ্চলকে অনিরাপদ করে তুলছে না, বরং বিশ্ব শান্তির জন্যও মিয়ানমার মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। যে সময়ে মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে বিভিন্ন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘ সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে, সে সময়ে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের পক্ষে পোপের ভূমিকা যথেষ্ট ত্যাৎপর্য বহন করে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম বিরোধী নৃশংসতা নিয়ে শুধু মুসলমানরাই নন; সমগ্র বিশ্ববাসীই আজ শংকিত, উদ্বিগ্ন ও বিক্ষুব্ধ।
জমিয়ত নেতা আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরও বলেন, ধর্মীয় নেতারা শুধু স্বীয় ধর্মের নয়, বরং আল্লাহর সৃষ্টি সব মানুষের জন্য এভাবে সম ভালোবাসার দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করতে পারলে, এই পৃথিবী আরও সুন্দর হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
আল্লামা কাসেমী বিবৃতিতে পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফলভাবে সম্পন্ন করে তার নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এমএইউ/