যমুনা নদী থেকে শহরকে দ্বিখণ্ডিত করে বের হওয়া এ খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনঃখনন ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কাটাখালটির সংস্কার ও দু’পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় ও কাটাখাল এলাকা ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশল কার্যালয় সূত্র জানায়, ‘সিরাজগঞ্জ পৌরসভা কাটাখাল উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন” প্রকল্পের আওতায় শহরের রায়পুর থেকে আলিয়া মাদ্রাসা ও বাহিরগোলা হয়ে ফুলজোড় নদী পর্যন্ত আট কিলোমিটার কাটাখাল পুনঃখনন করা হবে। এছাড়া দু’পাড়ে দুই কিলোমিটার স্লোব প্রটেকশন, তিন কিলোমিটার ওয়াক ওয়ে নির্মাণ, চারটি ব্রিজ স্থাপন, ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক তৈরি, আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, চারটি ঘাটলা সিঁড়ি নির্মাণ, চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে স্থাপন এবং দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান নির্মাণ করা হবে। বিভিন্নস্থানে পর্যটকদের বসার স্থান ও ছাতা স্থাপন করা হবে। দুই বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা আন্দোলনের নেতা নব কুমার কর্মকার বাংলানিউজকে জানান, শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া কাটাখালটি অবৈধ দখলমুক্ত ও সংস্কার করার জন্য প্রায় ১৪/১৫ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে সিরাজগঞ্জবাসী। দীর্ঘদিন পর হলেও সিরাজগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি পূরণে কাটাখাল সংস্কারের পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হলে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাবে শহরবাসী।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী বাংলানিউজকে জানান, ২৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অনুমোদিত প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ এসছে। ইতোমধ্যে নদীর দুই পাশে অবৈধ দখলমুক্ত করার পর স্লোব নির্মাণ করা শুরু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্ত বাংলানিউজকে বলেন, শহরবাসীকে দেওয়া আমার প্রথম ও প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল কাটাখাল সংস্কারের সৌন্দর্য বর্ধন করা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এনটি