বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যান তিনি। এরপর ঘুরে ঘুরে জাদুঘরের বিভিন্ন প্রদর্শনী দেখেন এবং সেখানে রাখা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন পোপ।
এর আগে বিকেল ৩টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান তিনি।
সেখানে শহীদদের প্রতি ফুলেলে শ্রদ্ধা জানান এবং পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আত্মার মাগফেরাত কামনায় কিছু সময় নীরবতা পালন করেন পোপ। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
এর আগে মিয়ানমার সফর শেষে নেপিদো থেকে সরাসরি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান পোপ। এ সময় বিমানবন্দরে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিমানবন্দরে পোপ ফ্রান্সিসকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। রাতে পোপের সম্মানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
তারপর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পোপ ফ্রান্সিস। এদিন অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করবেন তিনি।
আরও পড়ুন>>
** স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের শ্রদ্ধা
সফর সূচি অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খ্রিস্টধর্মীয় উপাসনা ও যাজক অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন পোপ। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার।
একই দিনে বাংলাদেশের ক্যাথলিক বিশপসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
সফরের শেষ দিন ২ ডিসেম্বর (শনিবার) মাদার তেরেসা ভবন পরিদর্শন করবেন পোপ। পরিদর্শন করবেন বিভিন্ন মিশনারিও। বৈঠকে বসবেন খ্রিস্টধর্মের নেতাদের সঙ্গে। বিকেলে তিনি নটরডেম কলেজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে।
সফর শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় রোমের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়বেন পোপ ফ্রান্সিস।
গতবছর প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ক্যাথলিক বিশপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানালে পোপ বছরের শেষ দিকে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ আগস্ট এই ধর্মগুরুর ঢাকা সফরের সূচি ঘোষণা হয়।
এর আগে ১৯৮৬ সালে পোপ জন পল এবং ১৯৭০ সালে পোপ ষষ্ঠ পল বাংলাদেশ সফর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
কেজেড/এমএ/