এর আগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার জসিম বাজার দোলাপাড়া মহল্লার একটি ভাড়া বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে তাদের হত্যা করে অস্ত্র ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
নিহতরা হলেন-দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা শহর সংলগ্ন সরকারপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে মামনুর রশিদ (৩৫) ও একই উপজেলা শহরের পোড়াভিটা গ্রামের মহেবুল ইসলামের মেয়ে সাথী আরা (২৭)। এরা দুইজনেই মামাত ও ফুফুত ভাইবোন।
এছাড়া মামনুর রশিদ পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেল ব্যবসায়ী। আর সাথীআরা রংপুরের একটি কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নম্বর ২২)।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান পাশা বাংলানিউজকে জানান, যে বাড়িতে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে সেটি সৈয়দপুর শহরের কার্ডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ডা. তৌফিক ইমামের স্ত্রী নাদিরা আক্তারের। তিনি ওই বাসাটি পেট্রোল পাম্প কর্মচারী শিবলী সাদিক ও তার স্ত্রী শান্তাকে ভাড়া দিয়েছিলেন। এই দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে। তবে খুনের পর থেকে শিবলী সাদিক ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। ওই দম্পতিকে আটকের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, জোড়া খুনের সময় এই দম্পতিসহ আরো তিনজন যুবক অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ