বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুচিন্ত চৌধুরী এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কমিটিতে হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সত্যজিৎ কুমার সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। এর আগে জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজস্ট্রেট তারেক জাকারিয়াকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন।
২৩ আগস্ট সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য হবিগঞ্জ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের উপ সহকারী কর্মকর্তা সঞ্জীব সরকারের স্ত্রী মল্লিকা সরকারকে তার স্বামী চাঁদের হাসি হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মানুযায়ী তাকে ভর্তি করে নেয়। ওইদিনই চিকিৎসক এসকে ঘোষ তার স্ত্রীর অপারেশন করেন। সিজারের সময় মল্লিকার পেটের ভেতরে একটি তোয়ালে রেখেই সেলাই করে দেন চিকিৎসক। এরপর মল্লিকাকে বাসায় নিয়ে গেলে কয়েকদিন পর থেকেই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। ব্যথা বেশি হওয়ায় কয়েকদিন পর আবার চাঁদের হাসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মল্লিকাকে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলেন। পরীক্ষায় তার পেটের ভেতরে কিছু রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। পরে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক আবুল কালাম চৌধুরী হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে অপারেশন করে মল্লিকার পেটের ভেতর থেকে একটি তোয়ালে বের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এনটি