এ অবস্থায় বেচাকেনা জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয়। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষজন ফুটপাতে বসা ভ্রাম্যমাণ শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় ভিড় জমাচ্ছেন।
বগুড়ার শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় সড়কের দুই পাশে ভ্যানের উপর ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানের পোশাক মূলত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারের মানুষের জন্য। তবে অনেক উচ্চবিত্ত পরিবারের মানুষকেও এসব পোশাক পছন্দ করে কিনতে দেখা যায়।
নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম, নিয়াম উদ্দিনসহ একাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকানি বাংলানিউজকে জানান, এ শহরে তাদের মত প্রায় দেড় শতাধিক মৌসুম ভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ দোকানি রয়েছেন। ফুটপাত ঘেষে সড়কের দু’পাশে ভ্যান দাঁড় করিয়ে ব্যবসা করেন তারা। বর্তমানে শীত মৌসুমের পোশাকের ব্যবসা চলেছে পুরোদমে।
এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার, জ্যাকেট, প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। এরমধ্যে সোয়েটার ৮০ টাকা, উলেন সোয়েটার ১৫০ টাকা, শিশুদের পোশাক ১০০ টাকা, জিন্স প্যান্ট ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বেচাবিক্রি হচ্ছে।
সাব্বির হোসেন ও মো. সৌরভ নামের দুই বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাদের দোকানে আসেন। বেছে বেছে তারা পছন্দের পোশাকটি ক্রয় করেন। তবে সন্ধ্যার পর থেকে এসব দোকানে বেচাকেনা বাড়তে থাকে। দিনের কাজকর্ম শেষে এ সময়টাতেই মানুষ শহরে ঘুরতে বের হয়। এতে রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে তাদের বিকিকিনি- যোগ করেন এসব দোকানিরা।
আফরিন, শাকিল, রাকিবসহ কয়েকজন ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, ভ্রাম্যমাণ দোকান হলেও অনেক পছন্দের পোশাক এখানে পাওয়া যায়। পাশাপাশি সীমিত দামের মধ্যেই পছন্দের পোশাকটি কেনা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআই