ফেনী শহরতলীর লালপোলের হাজী বশির উল্লাহ কমপ্লেক্সের আল মক্কা কমিউনিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল ৩টার দিকে ওই কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
জন্ম সনদটি ইস্যু করা হয় ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ। সনদে স্বাক্ষর করা হয় চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বরে। এই গরমিল দেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সন্দেহ হয়।
তখন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ উদ্দিন নাছিমকে ফোন করেন তিনি। চেয়ারম্যান সেখানে হাজির হলে মেয়ের বাবা স্বীকার করেন- তিনি কম্পিউটারে তথ্য জাল করেছেন। ইউপি সচিবের স্বাক্ষরও জাল।
মেয়ের মূল বয়স ১৬ বছর ৬ মাস। জন্ম সনদে দেখানো হয়েছে ১৮ বছর ছয় মাস। পরে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ৪ ধারায় বিয়ে বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
একই সঙ্গে চেয়ারম্যানের কাছে অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হবে না-মর্মে একটি মুচলেকা দেওয়ার জন্য মেয়ের বাবাকে নির্দেশ দেন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান বর মোহাম্মদ আলমগীর।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বাংলানউজকে বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এসএইচডি/এমএ