ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতে শিক্ষা নেওয়া শিক্ষার্থীরা গড়লেন ‘মৈত্রী’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
ভারতে শিক্ষা নেওয়া শিক্ষার্থীরা গড়লেন ‘মৈত্রী’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: লাল শাড়ি পরে খোলা চুলে মঞ্চে এলেন চৈতালী সমাদ্দার। বললেন, ‘ভারত থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরে কেমন যেন একা একা লাগে। বন্ধুদের ঠিক কাছে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে অবশ্য একইসঙ্গে শিক্ষা নেওয়া বন্ধুদের সঙ্গে গেট টুগেদার হয়, তবে তা ওই ছোট্ট বাসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ’।
‘এখন  থেকে আর এ ধরনের সমস্যা পোহাতে হবে না। কেননা, ভারতে শিক্ষাগ্রহণ করতে যাওয়া প্রাক্তন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একত্রিত করছে ‘মৈত্রী’।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এভাবেই সকলের সঙ্গে ‘মৈত্রী’র পরিচয় করিয়ে দেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক চৈতালী। তার সঙ্গে ছিলেন নির্ঝর দেবনাথ।

দু’জনেই উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন ভারত থেকে।

সন্ধ্যায় রাজধানীর ভারতীয় হাইকমিশনে ‘মৈত্রী’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। উপস্থিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক জয়শ্রী কুণ্ডু, চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ভারতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া শিক্ষার্থীরা।

ভারতে শিক্ষাগ্রহণ করতে যাওয়া প্রাক্তন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একত্রিত করছে ‘মৈত্রী’।  ছবি: বাংলানিউজউদ্বোধনী বক্তৃতায় হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত যেমন বন্ধুপ্রতীম দেশ, মৈত্রীও ঠিক তেমনি ভারতে শিক্ষাগ্রহণ শেষে বাংলাদেশে ফেরা শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধুত্বের জায়গা হবে। এ সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের বন্ধুদের খুঁজে পাবেন, ঠিক তেমনি ভারতে শিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্যও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

মৈত্রী এক্সপ্রেসের সঙ্গে মৈত্রী সংগঠনকে তুলনা করে তিনি বলেন, মৈত্রী এক্সপ্রেস যেমন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মেলবন্ধনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে, মৈত্রী সংগঠনটিও তেমনি শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধনের জায়গা হবে।

ভারতে বাংলাদেশিদের উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে ভারতে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। আগামীতেও যেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভারতে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা পান, সে বিষয়েও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে আশাবাদী ভারত সরকার।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উচ্চশিক্ষা নিতে ভারত যান। সেখানে শিক্ষা নেওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এক প্লাটফর্মে আনার লক্ষ্যে কাজ করবে ‘মৈত্রী’। এটি অরাজনৈতিক ও অবাণিজ্যিক সামাজিক সংগঠন। এর প্রধান উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে শিক্ষাগ্রহণ করতে যাওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধন স্থাপন। সদস্যদের সব ধরনের সামাজিক ও শিক্ষাগত সাহায্যেও এগিয়ে আসবে এ সংগঠন।

পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পূজা সেনগুপ্ত ও সামিনা হোসেন নৃত্য এবং প্রিয়াংকা গোপ, সমরজিৎ রায় ও মনিরা ইসলাম পুস্প সংগীত পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এইচএমএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।