বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন ৬৫ বছর বয়সী মেয়র আনিসুল হক। তিনি মস্তিস্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ এ আক্রান্ত হয়ে গত দু’মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালটিতে।
‘গ্রিন ঢাকা, ক্লিন ঢাকা’ তৈরিতে কাজ করতে নেমেছিলেন ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক। নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আদিত্য শাহীন লিখেছেন- ‘ঢাকার মানুষ একজন মেয়র পেয়েছিলেন, যিনি স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে জানতেন। পারতেন অসম্ভবকে সম্ভব করতে…’।
তানিম ইসলাম তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘সম্ভাবনাময় মানুষগুলো খুব দ্রুত চলে যান, ওপারে ভালো থাকবেন প্রিয় আনিসুল হক’।
সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম রাহাত লিখেছেন- ‘মেয়র আনিসুল হকের নিউজ কাভারেজের এই ছবিটিই সর্বশেষ স্মৃতি হয়ে রইল। আর কখনও আপনার সামনে মাইক্রোফোন ধরা হবে না। ভরাট কণ্ঠের কথাগুলো আর লেখা হবে না নোটপ্যাডে। আপনি চলে গেলেন ‘সবুজ নগরী’র ঢাকা না গড়েই। ইচ্ছে ছিল, আপনার একান্ত সাক্ষাৎকার নেওয়ার, যা অপূর্ণই রয়ে গেল। ওপারে ভালো থাকবেন, প্রিয় আনিসুল হক’।
মেয়র আনিসুল হকের একটি ছবিসহ বাবলী ইয়াসমিন তার ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘Newsfeed জুড়ে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা!!! অথচ কিছু মানুষের দেওয়া কষ্ট নিয়েই চলে যেতে হল আপনাকে’।
ইমতিয়াজ শুভ লিখেছেন- ‘মানুষ কোনো কোনো সময় তার স্বপ্নের চাইতেও বড়...... এই উক্তিটির এর মধ্যে অনেক অনেক অনুপ্রেরণা রয়ে গেছে, #আনিসুল #হকের মতো মানুষ গুলো যুগে যুগে কালে কালে উদাহরণ হয়ে থাকবেন.....খুব অল্প সময়ে চলে গেলেন!!!’
ফাইজা চৌধুরী লিখেছেন- ‘বীরেরা কখনো মারা যান না। তারা আজীবন বেঁচে থাকেন তাদের কর্মে। মেয়র আনিসুল হকও এভাবেই বেঁচে রবেন আমাদের মনে। কেউ তার জায়গা নিতে পারবেন না’।
আগামী শনিবার (০২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ওইদিনই বাদ আসর আর্মি স্টেডিয়ামে নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বাদ জুমা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশে সময়: ০৪২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এসজেএ/এএসআর