দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট। ফেরি ও নাব্যতা সংকটসহ বাড়তি যানবাহনের চাপে ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে ব্যস্ততম ওই নৌ-রুটের উভয় ঘাট এলাকা।
শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, দুই ঘাটে ৯ শতাধিক যানবাহন পারাপরের অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌ-রুট পারাপার করা হচ্ছে। যে কারণে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ছাড়া অন্য সাধারণ ট্রাকগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে যাত্রীবাহী বাসের চাপ কিছুটা কম থাকলেও ঢাকামুখী পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত।
সর্বশেষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও ২০/৩০টি যাত্রীবাহী পরিবহন নৌ-রুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ দিলীপ দত্ত বাংলানিউজকে জানান, নৌ-রুটের ১৭টি ফেরির মধ্যে তিনটি অচল। বাকি ফেরিগুলো দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
আবার নাব্যতা সংকটে ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান থাকায় একটি মাত্র চ্যানেল দিয়ে পন্টুন এলাকার ফেরিগুলো চলাচল করছে। একসঙ্গে কয়েকটি ফেরি চ্যানেলে প্রবেশ করত পারছে না। ফলে ফেরির ট্রিপ কমে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাভারের নবীনগরে যানজটের কারণে রাতে বাড়তি যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়। এতে করে যানাবাহনের দীর্ঘ লাইন জমে যায়।
সর্বশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ৩৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক ও দেড় শতাধিক যাত্রীবাহী পরিবহন নৌ-রুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এএসআর