শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হয় এই আয়োজন। এতে যাযক অভিষেকও রয়েছে।
সবার উদ্দেশ্যে পোপ বলেন, অনেকে অনেক দূর থেকে এসেছেন। দুইদিন টানা কষ্ট করেও এসেছেন। বিশ্বাস রেখেছেন। এটিই বড় কথা। এভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যান। পর্বতের উপর যিশুর বাণীর মধ্যদিয়ে। নব অভিষিক্ত যাযকদের জন্য অনেক প্রার্থনা করতে হবে। তারা পূর্ণ অভিষেক লাভ করে যাযক হবেন। খ্রিস্ট বিশ্বাস হিসেবে সবার দায়িত্ব সহায়তা দেওয়া।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কীভাবে এই যাযকদের সহায়তা দিতে পারি?
উপায়ও তিনি বলে দেন। বলেন, তোমাদের কাছে আহ্বান, উদারতার মধ্যদিয়ে কীভাবে যাযকদের সহায়তা করতে হয়; সর্বপ্রথম উপায় প্রার্থনা। যাযকদের জন্য প্রার্থনা করতে কখনও কেউ যেন ক্লান্ত না হও। প্রার্থনা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে সহযোগিতা করো। সবশেষে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
এই আয়োজনের পর বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পোপ।
এরপর ক্যাথিড্রাল পরিদর্শন করবেন বিকেল ৪টায়। পরে ৪টা ১৫ মিনিটে রমনায় প্রবীণ যাযক ভবনে পোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশপদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তিনি ধর্মীয় বক্তব্য দেবেন, দেবেন নির্দেশনা। ৫টায় রমনার আর্চ বিশপ হাউসের মাঠে সভা রয়েছে।
তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকায় এসেছেন পোপ। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অভ্যর্থনা জানান পোপ ফ্রান্সিসকে। এ সময় পোপকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
পরে ৩১৯ একর আয়তনের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সোহরাওয়ার্দীর উপাসনায় পোপ
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
কেজেড/আইএ