বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এ মিলন মেলা শেষ হবে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে শিকারে সক্ষম হয়েছেন অনেকেই।
সাতক্ষীরা পৌরসভা প্রতি বছর এই সময়ে আয়োজন করে মাছ শিকারের। বছরে একবারই টিকিটের বিনিময়ে মাসের চার শুক্রবার মাছ ধরার সুযোগ পান মৎস্য শিকারিরা। আর মাছ ধরা দেখতেও ভীড় জমান উৎসুক জনতা।
নিয়মানুযায়ী, শুক্রবার দিনভর মৎস্য শিকারের কথা থাকলেও টিকিট সংগ্রহকারীরা মাছ ধরতে বসে যান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই। রাত জেগে তীব্র শীত উপেক্ষা করে টর্চ লাইটের আলোয় ছিপ দিয়ে মাছ ধরেন তারা।
ঠিক কবে থেকে মৎস্য শিকারিদের এই মিলন মেলা শুরু হয়, তা জানা না গেলেও স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাধীনতার আগে থেকেই দেখে আসছেন এই মিলন মেলা।
মৎস্য শিকারে অংশ নেওয়া আরশাফ আলী বাংলানিউজকে জানান, ২০ বছর ধরে পৌর দিঘিতে বছরের এই সময়টিতে মৎস্য শিকারে অংশ নেন তিনি। এজন্য তোড়জোড় চলে আরও আগে থেকে। মাছ পান বা না পান-মাছ ধরতে বসাই হলো নেশার মতো। এজন্য বৃহস্পতিবার সারারাত দিঘির পাড়ে ছিপ (হুইল) ফেলে বসে ছিলেন তিনি। মাছও পেয়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের ফাঁকে এটিই তার বিনোদন।
তিনি আরও জানান, মাসের চার শুক্রবার মাছ ধরার সুযোগ থাকে। প্রতিটি টিকিট চার হাজার টাকা দিয়ে কিনলে তিনজন মাছ ধরার সুযোগ পান।
এই ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, পৌর দিঘিতে মৎস্য শিকারীদের মিলন মেলা সাতক্ষীরার পুরাতন একটি ঐতিহ্য। তবে, পৌরসভা এই মিলন মেলা থেকে যে আয় করে, তার একটি অংশ খরচ করে মাছ ছাড়লে এটি আরও জমজমাট হবে। এটি মৎস্য শিকারিদেরও দাবি। কিন্তু মৎস্য শিকারিদের দাবি প্রতিবারই উপেক্ষিত থাকে। তাই পৌর মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ