এর আগে বাদ ফজর থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে সমবেত হন। ওইদিন তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ সমাজের প্রভাবশালী মানুষের মাঝে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত পেশ করেন।
শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে ও গোর-এ-শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহল, প্রভাবশালী ও বিশিষ্টজন, ওলামায়ে কেরাম এবং মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে পৃথক পৃথক আলোচনা করেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা।
এ সময় সমাজের শিক্ষিত, প্রভাবশালী ও উঁচু শ্রেণির লোকজন কিভাবে মানুষের মাঝে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে পারেন এবং এই দাওয়াতের কিভাবে প্রভাব পড়ে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া বাদ জুমা, বাদ আসর ও বাদ মাগরিব সাধারণ মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান পেশ করেন মুরব্বিরা। শুক্রবার সকাল থেকে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাবলীগ জামাতের অনুসারীসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সমবেত হন।
দিনাজপুর তাবলীগ জামাতের আমির (জিম্মাদার) মো. লতিফুর রহমান জানান, শনিবার শেষ দিনে কাকরাইলের মুরব্বি ও বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আমির (জিম্মাদার) মাওলানা মো. রবিউল হক মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করবেন। শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শেষ হবে।
কাকরাইলের মুরব্বি ও বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আমির (জিম্মাদার) মাওলানা মো. রবিউল হক আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন বলে জানান লতিফুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
বিএস