মানববন্ধনে ওই এলাকার বাবুরগ্রাম, পুরান ভাড়ালিয়া, নতুন ভাড়ালিয়া ও বাহেরচর এলাকার প্রায় ২ শতাধিক গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাবুরগ্রাম এলাকার জয়গুন্নেছা ওয়াকফা এস্টেটের নামে একটি ঈদগাহ ও কবরস্থান রয়েছে।
শিকারীটোলা এলাকার বাসিন্দা মামুন মেম্বার বলেন, খোকন অবৈধভাবে ওয়াকফা প্রশাসন থেকে মোতোয়ালি হয়েছেন। মোতোয়ালি হওয়ার পর তিনি জোড় করে ঈদগাহ ও কবরস্থান তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। এলাকাবাসী এ বিষয়ে তাকে অনুরোধ করলেও তিনি কারও কথায় কর্ণপাত করেন না। আমরা তাকে মোতোয়ালি হিসেবে মানি না।
বাবুরগ্রাম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী বলেন, ১৯২১ সালে এই এলাকার মেয়ে জয়গুননেছা মসজিদের জন্য এই জমিটি দান করেন। পরবর্তীকালে এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হলে আদালত থেকে ওই সম্পত্তি শিকারীটোলা ও বাবুরগ্রাম কবরস্থান ওয়াকফা এস্টেট নামে পরিচালনার নির্দেশ দেন। কিন্তু খোকন জয়গুননেছা ওয়াকফা এস্টেট নাম দিয়ে জমিটির ভূয়া মোতোয়ালি হয়েছেন। এখন তিনি জমিটি দখল করে বিক্রি করে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন। আমরা এলাকাবাসী এই ঈদগাহ ও কবরস্থান উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় শাক্তা ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন লিটন বলেন, এলাকাবাসীর স্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর নেপথ্যে যারা কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ