শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত এ মেলার স্থায়িত্ব থাকে।
বাংলাদেশ ও ভারতীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কিছু সময় কথা বলার সুযোগ করে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
দুই দেশে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনদের একনজর দেখার জন্য হাজারো মানুষ উপস্থিত হয়। নাড়ির টানে বা মায়ার বন্ধনে দুই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসে লাখো মানুষ।
অনেক খোঁজাখুজির পর নিজের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর একটু বুকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছা পোষণ করলেও কাঁটাতারের বেড়ার কারণে সে ইচ্ছা আর পূরণ হয় না।
দীর্ঘদিন দূরে থাকা, দেখা না হওয়ায় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবার প্রিয়জনের দেখা না পেয়ে অনেককে চোখের পানি ফেলে বাড়ি ফিরে যেতে হয়।
কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে মহেশ শর্মা বলেন, অনেক ধন্যবাদ ভারতীয় বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজিবিকে। তারা আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা ও কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে সেজন্য।
সদর উপজেলার কশালগাঁও গ্রামের সুব্রত সেন বলেন, আমার অনেক আত্মীয় রয়েছে ভারতে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হয় না। বছরে এই একদিন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা হয়। কিন্তু কখনো কাছে টেনে নেওয়া হয় না, ছুঁয়ে দেখা হয় না। কাঁটাতারের বেড়া পরষ্পরকে কাছে পাওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ