২০-২২ বছর বয়সী চালক সাদ্দাম হোসেনের ছোট ট্রাকে চেপে বসতেই ছুটলেন উল্লাপাড়ার উদ্দেশ্যে। শাজাহানপুর থেকে শেরপুর উপজেলার শেষ সীমানা সীমাবাড়ী পর্যন্ত একাধিক বাঁক।
সিরাজগঞ্জের সীমানা রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনায় পৌছাঁমাত্র মহাসড়কের আসল চিত্রটা যানবাহনের হেডলাইটের আলোয় ধরা দিলো। চান্দাইকোনা থেকে সিরাজগঞ্জ রোড গোলচত্বর পর্যন্ত মহাসড়কের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটারের মতো। এরমধ্যে চান্দাইকোনা, ভূঁইয়াগাতি, নিমাগাছী, সাহেবগঞ্জ, হাটিকুমরুলসহ একাধিক স্থানে ছোটখাট বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। এসব স্থানে আলোর ব্যবস্থা থাকলেও মহাসড়কের দীর্ঘ পথটা ফাঁকা।
মহাসড়কের ফাঁকা দু’পাশে দেখা যাচ্ছিলো বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। একাধিক ইটখোলা। এসব ফাঁকা স্থান দিয়ে তীব্র বেগে ধেয়ে আসতে থাকে কুয়াশা। এক সময় দু’চোখ কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে যায়। এর মধ্যেও গাড়ি চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দৃশ্য আঁতকে ওঠার দশা।
সিরাজগঞ্জের গোলচত্বর এলাকায় সুলতান, সুজন, হেলালসহ কয়েকজন বাস ও ট্রাক চালকের সঙ্গে কথা হয়।
এসব চালকরা বাংলানিউজকে জানান, গত ঈদ-উল ফিতরের আগ থেকে গোলচত্বর থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এবার বৃষ্টিপাতও ছিলো বেশি। বর্ষাকাল পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মহাসড়ক ঠিক হয়নি। জোড়াতালির মহাসড়ক মাড়িয়ে তাদের যানবাহন চালাতে হচ্ছে। এরমধ্যে আবার যোগ হয়েছে শীতের ঘন কুয়াশা।
চালক সাদ্দাম হোসেন ও আব্দুস শাকুর বাংলানিউজকে জানান, ট্রাকের টাইম শিডিউল না থাকলেও বাসকে টাইম শিডিউল মেনে চলাচল করতে হয়। এ কারণে ট্রাকের চালকদের তুলনায় বাস চালকরা অনেকটা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। সেক্ষেত্রে তারা তীব্র কুয়াশার মধ্যেও একই কাজটি করেন। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। থাকে জীবন হারানোর ঝুঁকি। এরপরও সবাই বেপরোয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এমবিএইচ/জেডএস