ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় জানা গেছে, এরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠিগ্রামের লুৎফর খানের ছেলে ইউনুস খান (৪৮) ও বাগেরহাটের ফকিরহাটের শাহীন মোড়লের ছেলে মাহী মোড়ল (৪)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে পিরোজপুরগামী দোলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাঠ বোঝাই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১ জন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়। হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে আরো ৫ জন মারা যায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১ শিশুর মৃত্যু হয়।
আহতদের গোপালগঞ্জ আড়াই’শ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হতাহতদের বেশির ভাগেরই বাড়ি পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনায় কবলিত বাসটি শহরের পুলিশ লাইন মোড়ে যাত্রী নামিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়।
ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে হতাহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রমেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। উদ্ধার কাজ চলাকালে ওই সড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে উপ-পরিচালক চৌধুরী ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাসপাতালে যারা আহত হয়ে এসেছেন তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭/আপডেট ২৩০৭ ঘণ্টা
আরআই