রাত ১০ টায় বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনালে একে একে অভ্যন্তরীণ রুটের ৩টি লঞ্চ গ্রীন লাইনের যাত্রীদের নিরাপদে নিয়ে এসে নামিয়ে দেয়। তবে গ্রীন লাইনের এমন সেবায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের নিরাপদে নেমে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেল্লাল হোসেন জানান, বেলা ১ টার দিকে গ্রীন লাইন-২ লঞ্চের সুকান নষ্ট হওয়ার পর সেটি বিকল হয়ে হিজলার একটি চরে আটকে যায়। ওই সময় লঞ্চে সাড়ে ৫ শ’র মতো যাত্রী ছিলো। যাদের
প্রতিদিনের মতো বেলা দেড়টার মধ্যে বরিশালে পৌঁছানোর কথা ছিলো।
পরে নৌ পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিকেল ৪ টায় এমভি রাজপাখি, এমভি জনতা ও এমভি সোনালী নামক তিনটি লঞ্চ ঘটনাস্থলে যাত্রীদের আনার জন্য বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করে।
পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্পিডবোট যোগে যাত্রীদের জন্য বাড়তি খাবার, নিরাপত্তায় নৌ পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। পরে ৫শ’র মতো যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ৩ টি সন্ধ্যা ৭ টায় বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর আগে প্রায় অর্ধশত যাত্রী স্পিডবোট যোগে আগেই বরিশাল চলে আসেন।
ওসি আরো জানান, আজ শুক্রবার সকালে সাড়ে ৫শ’ যাত্রী নিয়ে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় এমভি গ্রিনলাইন-২ নামের দিবাসার্ভিসের জাহাজটি।
দুপুরে হিজলার ধুলিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে জাহাজটির সুকান বিকল হয়ে ত্রুটি দেখা দেয়। এতে জাহাজটি বিকল হয়ে যাত্রীরা আটকা পড়ে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা সরকার মিঠু জানান, যাত্রীদের নিরাপদে বরিশাল ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে। যে যার মতো পরবর্তী গন্তব্যে চলে গেছেন।
এদিকে বরিশাল প্রান্ত থেকে বেলা ৩ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যেসব যাত্রীদের যাওয়ার কথা ছিলো যাত্রা বাতিল হওয়ায় তারাও পড়েছেন চরম বিপাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এমএস/আরআই