শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-লাল মিয়া ওরফে বিষু ওরফে সম্রাট, রাকিব, আব্দুল হালিমবগা ও রবিউল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দিনগত গভীর রাতে চারজনের মধ্যে দুই আসামিকে নিয়ে আলামত উদ্ধারে শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশ ও তাদের সহযোগীদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এসময় গ্রেফতারকৃত রাকিব ও আব্দুল হালিম বগা গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তাহের, কনস্টেবল রেজাউল ও রশিদ আহত হন। গ্রেফতারকৃতদের সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
পরে গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পুলিশি পাহারায় তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, দুটি গুলির খোসা ও একটি চাকু উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার শাকপালায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট শফিকুল নিহত হন। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শজিমেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত লাল মিয়া ওরফে বিষু ওরফে সম্রাটকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাল মিয়া খুনের ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ খুনের ঘটনায় অংশ নেওয়া শাকপালা এলাকার রাকিব, আব্দুল হালিমবগা ও রবিউলকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত রাকিব ও বগা এলাকায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত। শাকপালার আমিনুল খুনসহ একাধিক মামলার আসামি।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর