শনিবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৭’ এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখতে হবে, মানুষের শেষ ভরসার স্থল আদালত।
মামলার রায় দিতে দেরি না করার তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি দরখাস্তের শুনানি সমাপ্ত হওয়ার পর যখন আদেশ লাভে বিলম্ব ঘটে বা মোকদ্দমার যুক্তিতর্ক শুনানির পর যখন রায় প্রকাশে বিলম্ব হয়, তখন সে বিলম্বের একক দায় সংশ্লিষ্ট বিচারককেই নিতে হবে। কারণ, রায় বা আদেশ তৈরির দায়িত্ব এককভাবে বিচারকদের। রায় বা আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়।
বিচারে বিলম্বের বহুবিধ কারণের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিচারে কাঙ্ক্ষিত গতি আনতে পর্যাপ্ত বিচারকক্ষ, বিচারকের শূন্যপদে নিয়োগ এবং বিচারক ও মোকদ্দমার সংখ্যায় যুক্তিসঙ্গত ভারসাম্য রক্ষা করা আবশ্যক।
রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে সুসমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে আবদুল হামিদ বলেন, মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রে কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং সহযোগী। প্রতিটি বিভাগের সফলতায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা একান্ত অপরিহার্য।
উন্নয়নে গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সম্পর্ক ও সমন্বয় খুবই জরুরি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এমইউএম/এএসআর