শনিবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিট থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে জাতীয় পতাকা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পতাকা দিয়ে ঢাকা মরদেহ। আনিসুল হককে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ সর্বস্তরের বিশিষ্ট নাগরিকেরা।
শ্রদ্ধা অর্পণ শেষে সেখানেই বাদ আসর নামাজে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে ছেলে মোহাম্মদ শারাফুল হকের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন মেয়র আনিসুল হক।
বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে প্রথমে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করা হয় আনিসুল হকের মরদেহে। পর্যায়ক্রমে শেষ শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
এরপর শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের।
এর আগে দুপুরে প্রয়াত মেয়রের বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ৮০ নম্বর বাসায় রাখা হয় মরদেহ। সেখানে গিয়ে আনিসুল হককে শেষ শ্রদ্ধা জানান, তার পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন ও সমবেদনা জানান এবং তাদের নিয়ে মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মরহুমের ছোট ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।
দুপুর ১টা ২০ মিনিটে আনিসুল হকের মরদেহ আসার পর বনানীর বাসায় তাকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষেরা। সকাল থেকেই ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরাও।
তারা শেষ শ্রদ্ধা জানান ও বাসার গেটে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০০২ ফ্লাইটযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছানোর পর সরাসরি মেয়রের বাসায় নেওয়া হয়। লন্ডন থেকে বিমানে মরদেহ নিয়ে সঙ্গে এসেছেন আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হক ও নাতনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আনিসুল হক। হাসপাতালে তিনি কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস (ভেন্টিলেশন) যন্ত্র দেওয়া অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র খুলে নিয়ে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এসএ/এএসআর