শনিবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মুরব্বি ও বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আমির (জিম্মাদার) মাওলানা মো. রবিউল হক।
মোনাজাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা কামনা করা হয়।
মোনজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠে সমবেত হন কয়েক লাখ মুসল্লি। আখেরি মোনাজাতে জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।
ইজতেমার শেষ দিন শনিবার বাদ ফজর থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় পর্যন্ত বয়ান করেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হেদায়েতী বয়ান পেশ করেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল মতিন।
দিনাজপুর তাবলীগ জামাতের আমির (জিম্মাদার) মো. লতিফুর রহমান জানান, ইজতেমা মাঠ থেকে প্রায় ৫০টি জামাত এক চিল্লা ও তিন চিল্লার জন্য বের হয়ে যান। এসব জামাত সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও বি.বাড়িয়া জেলায় যাবে বলে জানান তিনি। এই তিনটি জেলায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবায় দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল দিনাজপুর ও ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি দিনাজপুর শাখা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে আগত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইজতেমা মাঠের চার পাশে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য ৬টি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হয়। পাশাপাশি ছিলো র্যাব-পুলিশের সার্বক্ষণিক টহলদল।
এছাড়া সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন ইজতেমা মাঠে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
বিএস