ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

'কিসের মায়া কিসের টান, নিজেও জানি না'

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
'কিসের মায়া কিসের টান, নিজেও জানি না' এভাবেই ডুকরে কাঁদছেন রাশেদা বেগম

ঢাকা: বনানী কবরস্থানের সামনে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে দেয়াল ধরে ডুকরে কাঁদছেন এক নারী।  তার আহাজারিতে  ভেসে আসছে- এতো ভালো মানুষ জীবনেও দেখিনি, কী সুন্দর ব্যবহার, কী সুন্দর হাসি।

তখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের দাফন চলছিলো এই কবরস্থানে। দাফনে অংশ নিতে আসা হাজারো মানুষের নজর কেড়েছে তার আহাজারি।

 

নাম তার রাশেদা বেগম, কথার সময়ও আহাজারি তার কণ্ঠে। 'উনার (আনিসুল হক) শোকে মৃত্যুবরণ করবো...। '

মহাখালী ডিওএসএইচ একটি কম্পিউটার সরঞ্জামাদির দোকানে কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি করেন রাশেদা।

রাশেদার আত্মীয় বা পরিবারের কেউ নন আনিসুল হক, কিন্তু অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই ব্যক্তিটি তার মনে স্থান করে নিয়েছিলেন।  

বলছিলেন, বিটিভিতে আনন্দ মেলা প্রোগ্রাম দেখার জন্য বসে থাকতেন, এই অনুষ্ঠানে দেখা মিলতো তার।

আনিসুল হকের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে বলছিলেন, একবার এটিএন বাংলায় চাকরির জন্য গিয়েছিলাম, সাহস করে কথা বলছি। 'এতো ভালো ব্যবহার, এমন হাসি, জীবনেও দেখিনি'। মায়ের জন্য কষ্ট পাইছি, আজ উনার জন্য। শেষবার মুখটা একবার যদি দেখতে পারতাম। ’ 
 
রাশেদার স্বামী মারা গেছেন, ছেলে বন্দর স্টিলে চাকরি করে। আর এক মেয়ে ক্লাস এইট শেষ করে বাড়িতে থাকে। বাড়ি তার মাতুয়াইলে।
 
আনিসুল হকের চলে যাওয়াতে এই রাশেদার মতো অনেক মানুষ কেঁদেছেন, তার বহিপ্রকাশ আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা এবং দাফনের সময় অসংখ্য মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আনিসুল হক। মরদেহ দেশে আসার পর শনিবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এমআইএইচ/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।