শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এছাড়া ফাদারকে ছাড়তে মুক্তিপণ দাবিটা নিছক সাজানো ঘটনা ছিল বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ফাদার ওয়ালটার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত ২৭ নভেম্বর বনপাড়া মিশন মার্কেটের কাজ শেষে মোটরসাকেল নিয়ে রওনা হন ঢাকার পথে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম টোলপ্লাজায় তিনি যথারীতি মোটরসাইকেলের জন্য টোল দিয়েছেন। নিখোঁজের দিনগুলোতে তিনি টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের নবীগঞ্জে অবস্থান করেন।
মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফাদারের অবস্থান শনাক্ত করার পর শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয় বলে এসপি।
তিনি বলেন, ফাদার ওয়ালটার তার ব্যবহৃত মোটরসাকেলটি নবীগঞ্জ থানা এলাকার একটি রাস্তায় ফেলে চলে আসেন। স্থানীয় লোকজন পরিত্যক্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে থানায় যান।
এরপর পরিকল্পিতভাবে ফাদার আসেন সিলেট বাসস্টান্ডে। সেখানে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করেন ফাদার। এ সময় মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে নাটোর জেলা পুলিশ ফাদারের অবস্থান ট্রেকং করে সিলেটে অবস্থান দেখে তা জানান সিএসপির উপ-কমিশনার বাসুদেব বণিককে। তিনি তখন ফাদারকে উদ্ধারে করেন।
ফাদারকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তার এ রহস্যজনক নিরুদ্দেশের নেপথ্যে আরও কারণ থাকতে পারে যা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত করা হবে। তাকে রোববার (৩ ডিসেম্বর) নাটোর আদালতে হাজির করা হবে। আদালতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবুল হাসনাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) মো. হারুনার রশিদ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মশিউর রহমান, বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহরিয়ার খান, কোর্ট পরিদর্শক নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘন্টা; ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এইচএমএস/জিপি