আটকরা হলেন- স্পোটিং ক্লাবের কার্ড কর্ণারের বয় পেরু (৪০) ও কার্ড কর্ণারের মালিক বিতানের গাড়ি চালক জুয়েল (৩০)।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকি বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ওই ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় কার্ড কর্ণার। ধারণা করা হচ্ছে সেখানর জুয়া খেলার টাকা ভাগাভাগির জের ধরে সুমনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব থেকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন জুয়েল। পরে বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎকস সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সুমন ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার নাগরা গ্রামের ফয়েজ আহমেদের ছেলে। তিনি উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় থাকতেন এবং জয়দেবপুর এলাকায় ওষুধের ব্যবসা করতেন।
সেসময় জুয়েল জানিয়েছিলো, ক্লাবের সিঁড়িতে সুমনকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজে জানিয়েছিলেন, মৃত সুমনের পিঠের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন থাকায় জুয়েলকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
পিএম/জিপি