রোববার (৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নমপেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটে (নং বিজি-১২১৪) করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
নমপেন বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের নিযুক্ত মিনিস্টার ইন ওয়েটিং এবং থাইল্যন্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং কম্বোডিয়ায় বর্তমানে অ্যাক্রেডিটেড সাদিয়া মুনা তাসনিম।
আরও পড়ুন>>
** কম্বোডিয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল সোফিটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার বিকেলে নমপেনে দেশটির স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
সফরের প্রথম দিন রাতে কম্বোডিয়ায় দায়িত্বরত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন। এতে কম্বোডিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও অংশ নেবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে দুই দেশের জাতির পিতার নামে ঢাকা ও নমপেনের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণের ঘোষণা দেওয়া হবে। পরে শেখ হাসিনা ও হুন সেন যৌথ বিবৃতি দেবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার রাজা নরদম সিহানুক এবং কম্বোডিয়ান সিনেট প্রেসিডেন্ট সে চুম ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি প্রেসিডেন্ট হেং সামরিনের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হবেন।
তিনদিনের সফর শেষে ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
এমইউএম/এমএ/