মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রিকশা চালক দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মেয়র খুব ভালো মানুষ ছিলেন। উনার জন্য কষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র অন্য মেয়রদের চেয়ে আলাদা ছিলেন। তিনি কাজ করতেন।
মহাখালীতে আব্দুল মান্নান নামে এক চা দোকানি বলেন, কোনো কিছু হলে মেয়র নিজেই ছুটে আসতেন। মহাখালী অবৈধ উচ্ছেদে তিনি নিজে চলে এসেছিলেন। তিনি কাউকে ছাড় দিতেন না। কেউ গিয়ে তার সঙ্গে মাতব্বরিও করতে পারতেন না।
মহাখালীর বাসিন্দা, কাপড় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আসলে মেয়রের পিছু টান ছিলো না। বেশির ভাগ মেয়র, কমিশনাররা এসব পদে এসে টাকা কামাইয়ে মন দিতো। আনিসুল হক এ রকম ছিলেন না। তিনি কাজ করতেন।
তিনি বলেন, মেয়রকে হয়তো ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বর দেয়া যাবে না। কিন্তু ৯০ নম্বরতো পাবেন। এ রকম আরেকজন মেয়র পাওয়া ভাগ্যের। তিনি আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করেছেন কাজ করতে।
জাকির হোসেন আরো বলেন, মেয়র হয়তো উত্তর সিটি করপোরেশনকে পুরোপুরি বদলাতে পারেননি। কিন্তু পরিবর্তনের হাওয়া লাগিয়েছেন এখানে, অনেকটাই সফল হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আনিসুল হক।
হাসপাতালে তিনি কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস (ভেন্টিলেশন) যন্ত্র দেওয়া অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র খুলে নিয়ে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) দেশে পৌঁছানোর পর জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আনিসুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
এমইউএম/পিএম/বিএস