রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শনিবার (০২ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে গাজীপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মেহেদী হাসান সেলিম বাংলানিউজকে জানান, রোববার সকালে শিশু মৌসুমীর মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটির গলায় দাগ দেখে বিষয়টি এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এরপর থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুটির সৎ ভাই ইদ্রিস আলীকে (২০) আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউপি সদস্য সেলিম জানান, নিহতের মা রমিজা খাতুনের দু’টি বিয়ে হয়েছে। আগের স্বামীর ঘরে ইদ্রিস আলী (২০) ও ইমান আলী (১৬) নামে দুই ছেলে রয়েছে। ওই দুই ছেলেসহ কুদ্দুছ মিয়ার সঙ্গে তার (রমিজা খাতুন) দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
‘বর্তমানে কুদ্দুছের ঘরে মৌসুমী (৮) ও কাউছার (১১) নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তারা সপরিবারে মৌসুমীর নানা বাড়িতেই থাকতো। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়তো সে। ’
শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এখলাস উদ্দিন ফরাজী বলেন, নিহতের গলায় ও গোপনাঙ্গে রক্তের দাগ রয়েছে। এসব সিনড্রোমে মনে হচ্ছে- তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
আরএস/ওএইচ/