ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে এলজিইডি’র ঠিকাদারদের মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
বাগেরহাটে এলজিইডি’র ঠিকাদারদের মানববন্ধন দরপত্রে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির দাবিতে ঠিকাদারদের মানববন্ধন

বাগেরহাট: বাগেরহাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আহবান করা দরপত্রে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের  সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে কয়েকশ’ ঠিকাদার অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাট, অবকাঠামো  নির্মাণ করে সরকারের উন্নয়ন কাজে এলজিইডির ঠিকাদাররা অবদান রেখে চলেছেন।

ঠিকাদারি করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। বর্তমানে নির্মাণ সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। কিন্তু এলজিইডি বিভাগ তাদের দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধি করে নাই। বরং বিগত বছরের থেকে ১৫ শতাংশ কমেছে। এ বাজার দরে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে তা বাস্তবায়নকরছে তাকে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
 
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বর্তমানে বেধে দেওয়া নির্মাণ সামগ্রীর  দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির নেতারা। তাদের এ দাবি মেনে না নিলে ভবিষ্যতে এলজিইডি’র আহ্বান করা দরপত্রে অংশগ্রহণ না নেওয়ার হুমকি দেন ঠিকাদার কল্যাণ  সমিতি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-সমিতির আহ্বাবায়ক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান, সদস্য সচিব আব্দুর রব সরদার, সরদার শুকুর আহমেদ, শওকত চাকলাদার, মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

তারা বলেন, বর্তমানে এলজিইডি বিভাগ যে দরপত্রে উন্নয়ন কাজ আহ্বান করছে তাতে প্রতিটি ইটের দাম ধরেছে আট টাকা ৭৫  পয়সা। অথচ বর্তমান বাজার দর এগারো টাকা, ইটের খোয়া প্রতি ঘনফুট ৮৪ টাকা অথচ বাজার দর একশ’ টাকা, পাথর চিপস প্রতি ঘনফুট ১২০ টাকা অথচ বাজার দর ১৪৯ টাকা।

এছাড়া পাথর ডাস্ট, বিটুমিনসহ সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দামও  অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে।

বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় শুধুমাত্র এ ধরনের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে এলজিইডি’র স্থানীয় কর্মকর্তারা।

মানববন্ধন শেষে জেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি বাগেরহাট  প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে। ওই সংবাদ সম্মেলনে  সমিতির সদস্য সচিব আব্দুর রব সরদার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।