রোববার (০৩ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ০১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় মতিঝিলের টিঅ্যান্ডটি স্কুলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রামু সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মার পরিচালনায় এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা সদস্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মাফরুহা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার জান্নাতুল কাউনাইন, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মোমেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার মিজান সাইদ, রামু সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে রামু উৎসব নিয়ে কর্ম-পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনার একটি খসড়া প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রচার, প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম।
প্রস্তাবনায় রামু উৎসবের মোড়ক উন্মোচন, দিনব্যপী নানা অনুষ্ঠান, বাজেট, প্রকাশনা, স্পন্সর পলিসি, বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
প্রায় দুই হাজার মানুষের উপস্থিতির এ আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী মেজবানের পাশাপাশি, পিঠা উৎসব, শিশুদের বিনোদন ও আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।
সংগঠনের উপদেষ্টা সদস্য মাফরুহা সুলতানা বলেন, রামু সমিতি গত এক বছর ধরে বিভিন্ন গঠনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকায় পুরো কক্সবাজারকেই প্রতিনিধিত্ব করছে।
আর রামু উৎসব সফল করতে উপদলে বিভক্ত হয়ে কাজ করার উপর জোর দেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।
আর সভায় সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান ও ব্যারিস্টার মিজান সাইদ রোহিঙ্গা সংকটে কক্সবাজারবাসীর মধ্যে যে ঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে তা থেকে উত্তোরণের উপায় বের করার জন্য একটি গোল টেবল বৈঠক আয়োজনের জন্য আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে রামু সমিতির সহ সভাপতি সাইমুল আলম চৌধুরী, সাংগাঠনিক সম্পাদক সবুজ বড়ুয়া, বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সবাই নৈশভোজে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
এমএ/