ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০৩০ সালের মধ্যে নৌবাহিনী আধুনিক বাহিনী হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
২০৩০ সালের মধ্যে নৌবাহিনী আধুনিক বাহিনী হবে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ

খুলনা: নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হতে নেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে এ বাহিনী একটি ভারসাম্যপূর্ণ নৌবাহিনীতে রূপান্তরিত হতে চলেছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় খুলনাস্থ নৌ ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০১৭-বি ব্যাচের ৭৭৫ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তাব্যে এ কথা বলেন তিনি।

নৌবাহিনী প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের ক্রমাগত অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সামরিক বাহিনীসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

বর্তমান সরকারের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে নৌবহরে যুক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টার ও বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস। আরও দু’টি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।  

তিনি বলেন, চলতি বছরের মার্চে দু’টি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি, ঢাকার খিলক্ষেতে একটি পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটি এবং চট্টগ্রামের পেকুয়ায় একটি সাবমেরিন ঘাঁটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণের মান ও অন্যান্য সুবিধাদি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়েছে। এ স্কুলটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য একটি মানসম্পন্ন ১০তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।  

নবীন নাবিকদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বে নিজেদের আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন নৌবাহিনীর প্রধান।

নৌবাহিনীর ২০১৭-বি ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে শেখ মোহাম্মদ রাসেল, ডিই/এমএ-২/ইউটি পেশাগত ও সকল বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌ প্রধান পদক’ লাভ করেন।  

এছাড়া, মো. হোসাইন, ডিই/ইউসি/ইউটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. মাহমুদুল হাসান, ডিই/ইউসি/ইফটি তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘তিতুমীর পদক’ লাভ করেন।

মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স), খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, খুলনা ও যশোর এলাকার পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সাংবাদিক এবং নবীন নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এমআর/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।