সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় খুলনাস্থ নৌ ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০১৭-বি ব্যাচের ৭৭৫ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তাব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের ক্রমাগত অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সামরিক বাহিনীসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের মার্চে দু’টি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি, ঢাকার খিলক্ষেতে একটি পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটি এবং চট্টগ্রামের পেকুয়ায় একটি সাবমেরিন ঘাঁটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণের মান ও অন্যান্য সুবিধাদি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়েছে। এ স্কুলটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য একটি মানসম্পন্ন ১০তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
নবীন নাবিকদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বে নিজেদের আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন নৌবাহিনীর প্রধান।
নৌবাহিনীর ২০১৭-বি ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে শেখ মোহাম্মদ রাসেল, ডিই/এমএ-২/ইউটি পেশাগত ও সকল বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌ প্রধান পদক’ লাভ করেন।
এছাড়া, মো. হোসাইন, ডিই/ইউসি/ইউটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. মাহমুদুল হাসান, ডিই/ইউসি/ইফটি তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘তিতুমীর পদক’ লাভ করেন।
মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স), খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, খুলনা ও যশোর এলাকার পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সাংবাদিক এবং নবীন নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এমআর/জিপি