সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় শরীয়তপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। সেখানে শরীয়তপুর আঞ্চলিক বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা ও শ্রমিকরা এসে যোগ দেন।
পরে রোড-শো শুরু করে দুপুর ২টায় শরীয়তপুর শহরে এসে পৌঁছায়। সেখানে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙালি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিক বিড়ি শিল্পে কর্মরত রয়েছেন। সরকারের সাহায্য ছাড়াই এ শিল্প গড়ে উঠেছে। যুগ যুগ ধরে লাখ লাখ অসহায়, অচল ও কর্মহীন শ্রমিকদের কর্মসংস্থান করে যে শিল্পটি গড়ে উঠেছে বিগত কয়েক বছর ধরে বিশেষ একটি মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সে শিল্পকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
গ্রামে-গঞ্জে ঘরে বসে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সংসার সামলানোর পাশাপাশি এ আয় থেকেই চলে শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া।
কয়েক বছর আগে বিড়ির ওপর ট্যাক্স ও বিড়ির মজুরি প্রায় সমান ছিল। বর্তমানে অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ এবং ট্যাক্স অগ্রসর নীতির কারণে সিগারেটের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিড়ি বাজারজাত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ায় শ্রমিকরা বেকার হচ্ছে। তাই তাদের দাবি, বিড়ির ওপর অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার করে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা। শ্রমিকদের বেঁচে থাকার জন্য সব রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া। এবং বিড়ি শিল্প সম্পর্কে যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা।
এসময় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হারিক হোসেন, কার্যকরী সদস্য আবুল হাসসনাত লাভলু, শামীম ইসলাম, দুলাল শেখ, কেন্দ্রীয় বিড়ি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আব্দুল আজিজ মিয়াসহ স্থানীয় বিড়ি শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুরের কর্মসূচি শেষ করে বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ