এয়ারপোর্টেই প্রথমবারের মতো চার চোখের দৃষ্টি বিনিময়। এর পরের গল্পটা সহজেই অনুমেয়।
নিকি উলফিয়া নাকি ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের সরকারী চাকুরিজীবী ইউ লি আন থো-এর মেয়ে। পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতাও করেন।
আর ইমরান পটুয়াখালী সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
তরুণ ইমরান সাংবাদিকদের জানান, প্রায় এক ব্ছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে ইন্দেনেশীয় এই মুসলিম তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। এক পর্যায়ে তা অদেখার দূরত্ব ঘুচিয়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।
‘নিকি উলফিয়া আমার দেশ, আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছে। আমার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনেশুনেই আমার সাথে সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে চেয়েছে সে। তাই সে আকুল হয়ে ছুটে এসেছে। ১ ডিসেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামে সে। সেখান থেকে সাদরে আমি তাকে আমার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়ায় নিয়ে আসি।
তরুণী নিকি উলফিয়া সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ইমরানের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি তার সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে চান। বিষয়টি তিনি তার মা-বাবকে জানিয়েই এসেছেন। তিনি এদেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ।
ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, এখানে এসে নিকি উলফিয়া ফেইসবুকের মাধ্যমে তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছে। এখন বিয়ের সব কিছুই নির্ভর করবে নিকি উলফিয়ার ইচ্ছার ওপর।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.জ.ম খান ফারুকী জানান, মেয়েটি প্রেমের টানে বাউফলে এসেছে। তবে এখনো তাদের বিয়ে হয়নি। মেয়েটি ছেলেটির বাড়িতে ভালো আছে। নিরাপদেই আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এমএস/জেএম