মৃতের বাবা আসলাম ফরাজী বাদী হয়ে গর্নার স্বামী হিমু আকনসহ চারজনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, গর্নাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মামলায় নিহতের স্বামীসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আত্মহত্যা চেষ্টাকারী হিমুকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এর আগে রোববার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠি পৌর শহরের কাঠপট্টি রোডের মুড়ির কারখানার একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে ঝগড়া করে ওই দম্পতি। এ সময় বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিষপান করেন তারা।
বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গর্নাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর হিমুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই গৃহবধূ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে মৃতের পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর আগে কাঠপট্টি এলাকার আসলাম ফরাজীর মেয়ে ও ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী গর্নাকে বিয়ে করেন একই এলাকার মিলটন আকনের ছেলে মাঈনুল ইসলাম হিমু।
প্রেমের সম্পর্ক থেকে গোপনে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু বিষয়টি তাদের পরিবারের লোকজন মেনে নেয়নি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এমএস/আরআইএস