তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফেরাতে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এই সংকটের টেকসই সমাধানে জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছি।
সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) যৌথ প্রেস বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনদিনের সরকারি সফরে বর্তমানে কম্বোডিয়া অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। রোববার (০৩ ডিসেম্বর) কম্বোডিয়া সফরে যান তিনি।
তার সফরকালে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি ও নয়টি সমঝোতা সই করেছে কম্বোডিয়া। এরমধ্যে পর্যটন, কৃষি, সিভিল অ্যাভিয়েশন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়াদি রয়েছে।
চুক্তি ও সমঝোতায় সইয়ের সময় দুই প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হু সেনের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে কথা বলেছি। এই সমস্যা আমাদের আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, এর মধ্য প্রায় ৭ লাখই সম্প্রতি মিয়ানমারে সহিংসতায় পালিয়ে আসা।
এ সময় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য সত্যিকারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের নিজেদের ১৬ কোটি জনগণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাদের ভার বাংলাদেশ নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে। এ জন্য আমরা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করছি।
সফর শেষে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এমএ/