মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে তার জামিন মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর শওকত হোসেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাক্তার আশফাকুর রহমান মামুন ও জেলা কারাগারের জেলার শরীফুল ইসলাম জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় জেলার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা ডা. সালাহ উদ্দিন শরিফের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দুপুর ১২টার মধ্যে মুক্তি না দিলে কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন চিকিৎসক নেতারা। তবে সকাল থেকেই সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জেলা আদালতপাড়ায় অবস্থান করে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এসময় রোগীদের চরম ভোগান্তি পড়তে হয়। জামিনের পর সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌছলে চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক হয়।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে শহরের জেলা প্রশাসকের বাস ভবন এলাকার কাকলি শিশু অঙ্গনের (বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) প্রবেশ মুখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও সাবেক সিভিল সার্জন ড. সালাহ উদ্দিন শরীফের মধ্যে বাক বিতণ্ডার পর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সালাহ উদ্দিনকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে কারাগারে নিয়ে যায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
** লক্ষ্মীপুরে সাবেক সিভিল সার্জনের কারাদণ্ড
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
ওএইচ/